মৃত ব‍্যক্তির নামে রেশন তোলার অভিযোগে রেশন ডিলারের বাড়িতে বিক্ষোভ

18th May 2021 10:08 pm বর্ধমান
মৃত ব‍্যক্তির নামে রেশন তোলার অভিযোগে রেশন ডিলারের বাড়িতে বিক্ষোভ


আমিরুল ইসলাম ( মঙ্গলকোট ) : মৃত ব্যক্তিদের জীবিত দেখিয়ে তাঁদের  নামে রেশনের খাদ্যসামগ্রী তুলে আত্মসাতের  অভিযোগ উঠল রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে।  মঙ্গলবার এই ঘটনা ধরা পড়ার পরেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের ক্ষীরগ্রাম অঞ্চলের ধারসোনা গ্রামের বাসিন্দারা। তাঁরা রেশন ডিলারের বাড়ির সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখান । তা নিয়ে উত্তেজনা চরমে ওঠে । যদিও রেশন ডিলার চাঁদ শেখের দাবি করেন অভিযোগ সত্য নয়। ধারসোনা গ্রামের বাসিন্দা  মন্টু শেখ, শেখ রহুব, শেখ হাসমতরা বলেন , তাঁদের এলাকার  ২৪৫ নম্বর রেশন ডিলার হলেন চাঁদ শেখ । গ্রামবাসীদের অভিযোগ,তাদের এলাকার যে সব গ্রাহক মারা যান তাঁদের রেশনকার্ড গুলি  
ডিলারের মাধ্যমে খাদ্য দপ্তরে জমা পড়ার কথা ।সেই মত মৃত ব্যক্তির রেশন কার্ড পরিবারের লোকজন যথারীতি ডিলারের  হাতে তুলে দেন। কিন্তু ডিলার চাঁদ শেখ মৃত ব্যক্তিদের রেশন কার্ড গুলি নিজের কাছেই রেখে দেন । ওই সমস্ত মৃত ব্যক্তিদের জীবিত দেখিয়ে ডিলার  বছরের পর বছর ধরে রেশনের খাদ্য সামগ্রী  তুলে আত্মসাৎ করে গেছেন।  মণ্টু শেখ বলেন,তাঁর পরিবারের মৃত ব্যক্তিদের জমা করা রেশন কার্ডের নম্বর গুলি নিয়ে তিনি এদিন ডিলারের কাছে যান। ডিলালের কাছে  সমস্ত রেশন কার্ডের নম্বর মেলাতে গিয়ে তিনি জানতে পারেন তাঁদের পরিবারের মৃতদের রেশন কার্ডগুলি  এখনও সচল আছে । মৃতদের  কার্ডগুলি ডিলার স্যালেন্ডারই করান নি । এই ঘটনার কথা জানাজানি হতেই গ্রামবাসীরা অভিযুক্ত রেশন ডিলার  চাঁদ শেখের বাড়ির সামনে জড়ো হয়ে এদিন বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ।  গ্রামবাসীদের অভিযোগ প্রসঙ্গে ডিলার চাঁদ শেখ  দাবি করেন, মৃত গ্রাহকদের  রেশন কার্ড ও  তার পুরো তথ্য তিনি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে পাঠিয়ে দিয়েছেন । যদিও কাটোয়া মহকুমা খাদ্য নিয়ামক কবিরুল ইসলাম জানান, "ঘটনার কথা তিনি শুনেছেন । বিষয়টি সন্মন্ধে  তিনি ব্লকের খাদ্য পরিদর্শকের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন।'। 

 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।